“… যে কেউ কাউকে হত্যা করে… সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করল।”
— সূরা মায়িদাহ: ৩২
ইসলাম মানুষের জীবনকে পবিত্র ও অমূল্য ঘোষণা করেছে। অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
“…তোমরা ন্যায়বিচার স্থাপন করো এবং আল্লাহর সাক্ষ্য দাও, যদিও তা তোমাদের নিজেদের, পিতা-মাতা বা আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে হয়।”
— সূরা নিসা: ১৩৫
ইসলাম বিচারিক সমতা ও পক্ষপাতহীনতা নির্দেশ করেছে, যেখানে ধনী-গরিব বা আপন-পর কোনো ভেদ নেই।
“হে মানুষ! আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি… যেন তোমরা একে অপরকে চেনো।…”
— সূরা হুজরাত: ১৩
জাতি, বর্ণ, গোত্র বা ভাষার ভিত্তিতে কোনো বৈষম্যের অনুমতি নেই। আল্লাহর দৃষ্টিতে মর্যাদাবান সে, যে বেশি তাকওয়াবান।
ইসলাম মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অনুমোদন করেছে, তবে তা যেন অন্যের সম্মান ও সমাজের শৃঙ্খলা ক্ষুণ্ণ না করে।
“হে মুমিনগণ! তোমরা কোনো বাড়িতে প্রবেশ করো না… অনুমতি না নিয়ে।”
— সূরা নূর: ২৭
ইসলাম ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও মর্যাদাকে সুরক্ষা দেয়।
হজ্ব বিদায়ের ভাষণে তিনি বলেন:
“তোমাদের রক্ত, সম্পদ ও সম্মান একে অপরের জন্য হরম, ঠিক যেমন এই দিন, এই মাস ও এই শহর পবিত্র।”
— সহীহ মুসলিম
এটি মানবাধিকারের একটি চূড়ান্ত ঘোষণা যেখানে জীবন, সম্পদ ও সম্মান রক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
জীবনের অধিকার
ন্যায়বিচারের অধিকার
ধর্মীয় স্বাধীনতা
নারীর অধিকার
দাসমুক্তির অধিকার
শিক্ষা ও সম্পদের ন্যায্য বণ্টন
প্রতিবেশীর অধিকার
শিশু ও বৃদ্ধের সুরক্ষা
পশুপাখির প্রতিও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ
ইসলাম কোনো কল্পিত অধিকার নয়, বরং বাস্তবভিত্তিক ও সর্বজনীন মানবাধিকারের ধারক। কোরআনের আলোকে মানবাধিকার শুধু আইনি নয়, বরং এক গভীর নৈতিক দায়িত্ব—যা সমাজে ন্যায়, শান্তি ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠার পথ দেখায়।